You are currently viewing ডায়রিয়া ও বমির লক্ষণ, ঘরোয়া চিকিৎসা, পাতলা পায়খানা ও বমি হলে করণীয়

ডায়রিয়া ও বমির লক্ষণ, ঘরোয়া চিকিৎসা, পাতলা পায়খানা ও বমি হলে করণীয়

ডায়রিয়া বা উদরাময় হল প্রতি দিন কমপক্ষে তিনবার পাতলা বা তরল মলত্যাগ করার ফলে যে রোগ হয় তাকে বোঝায়। ছোট শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পর্যন্ত সবাইকেই এই দুটি সমস্যা প্রায়ই ভোগায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জীবাণু পেটে ঢোকার কারণে এই সমস্যাগুলো সৃষ্টি হয় আর কয়েকদিনের মাঝেই সেরে উঠে। ডায়রিয়া ও বমি একসাথে হলে যে পরামর্শ, শুধু ডায়রিয়া অথবা শুধু বমি হলেও একই পরামর্শ।

পরিসংখ্যান

প্রতি বছর প্রায় 1.7 থেকে 5 বিলিয়ন উদরাময়ের ঘটনা ঘটে। এটা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সবচেয়ে সাধারণত দেখা যায়, যেখানে ছোট বাচ্চারা প্রতি বছরে গড়ে তিনবার উদরাময়ে আক্রান্ত হয়। 2012 সাল পর্যন্ত, বিশ্বব্যাপী পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর দ্বিতীয় সবচেয়ে সাধারণ কারণ (0.76 মিলিয়ন বা 11%)। 

রোগটি হলে কোন ডাক্তার দেখাবেন:- যেকোনো physician কে দেখালেই হবে.

ডায়রিয়ার লক্ষণ: 

নরম পায়খানা বা পানির মত পাতলা পায়খানা দিনে তিন বা তার বেশী বার হলে সেটাকে ডায়রিয়া বলে। তবে আপনার যদি কোন কারণে পায়খানা এমনিতেই নরম বা পাতলা হয়, তবে দিনে স্বাভাবিকভাবে যতবার পায়খানা হয়, তার চেয়ে বেশী বার হলে সেটা ডায়রিয়া ধরে নিবেন।

যে শিশুরা বুকের দুধ পান করে, তাদের পায়খানা স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা নরম আর আঠালো হয়। সেটা ডায়রিয়া নয়।

ডায়রিয়া হলে কি কি ওষুধ খাবেন 

  1. Syrup GRAMONEG (৪ বছরের কম বাচ্চার জন্য  এক চামচ করে দিনে তিনবার)
  2. Syrup SPASMINDON
  3. Syrup ORO LYTE 50ML  (বেশি বমি হলে )
  4. Syrup ONDEM  (৪ থেকে ৮ বছরের শিশুর জন্য)

যদি আরাম না হয় তাহলে

  1. Injection ANAFORTAN 1CC IM
  2. Injection GENTA 40mg IM

পাতলা পায়খানা থেকে রেহাই পাওয়ার ঘরোয়া উপায়

ডায়রিয়া ও বমির ঘরোয়া চিকিৎসা

সাধারণত আপনি নিজেই বাসায় বসে নিজের অথবা নিজের শিশুর চিকিৎসা করতে পারেন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল পানিশূণ্যতা এড়াতে প্রচুর পরিমাণে তরল পানীয় ও খাবার খাওয়া।

যা যা করবেন:

  • বাসায় থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিবেন।
  • প্রচুর পরিমাণে তরল পানীয় ও খাবার খাবেন, যেমন পানি, খাবার স্যালাইন, চিড়ার পানি, ভাতের মাড়, কিংবা ডাবের পানি। ভাতের মাড়ে সামান্য লবণ দিতে পারেন। বমি ভাব হলে ছোট ছোট চুমুকে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
  • বাজার থেকে কেনা ফলের জুস, কোমল পানীয়, কফি, চিনি দেয়া চা পরিহার করবেন। কারণ এসব খেলে ডায়রিয়া আরো খারাপ হতে পারে।
  • যখনই মনে হবে খেতে পারবেন, তখনই খেয়ে নিবেন।
  • নির্দিষ্ট কোন খাবার খাওয়ার প্রয়োজন নেই। যেমন, এমন ধারণা প্রচলিত আছে যে ডায়রিয়ার রোগী সাদা ভাত আর কাঁচকলা ছাড়া আর কিছুই খেতে পারবে না। এই ধারণা টা সঠিক নয়।
  • প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ৫০-১০০ মিলি তরল পানীয় খাওয়াবেন, ২ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের ১০০-২০০ মিলি তরল পানীয় খাওয়াবেন আর ১০ বছরের বেশী বয়সী শিশু এবং বড়দেরকে তরল পানীয় খাওয়াবেন যতটুকু তারা খেতে পারে।
  • শিশুকে বুকের দুধ বা বোতলের দুধ খাওয়ানো চালিয়ে যাবেন। শিশু বমি করলে অল্প অল্প করে বারবার খাওয়াতে পারেন।
  • ফর্মুলা বা শক্ত খাবার খাচ্ছে এমন শিশুদের দুই বেলা খাবারের মাঝে ছোট ছোট চুমুকে পানি খাওয়াবেন।
  • শিশুকে প্রতি তিন-চার ঘণ্টা পর পর খাওয়াবেন। একবারে অনেক বেশী খাবার না দিয়ে বার বার অল্প অল্প করে খাওয়ানো শ্রেয়।
  • বাচ্চাদের ফর্মুলা যে পরিমাণে নির্দেশনা দেওয়া আছে, সেভাবেই বানিয়ে খাওয়াবেন। তার চেয়ে পাতলা ফর্মুলা বানিয়ে বাচ্চাকে খাওয়াবেন না।
  • অস্বস্তি বোধ করলে প্যারাসিটামল খেতে পারেন। শিশুকে ওষুধ দেওয়ার আগে ওষুধের সাথে থাকা নির্দেশিকা ভালো মত পড়ে নিবেন আর অবশ্যই বয়স অনুযায়ী সঠিক পরিমাণে ওষুধ খাওয়াবেন।
  • ডায়রিয়ার প্রকোপ কমাতে এবং তাড়াতাড়ি সারিয়ে তুলতে ডাক্তারের পরামর্শে শিশুকে জিঙ্ক ট্যাবলেট বা সিরাপ খাওয়াতে পারেন। সাধারণত ১০ থেকে ১৪ দিন জিঙ্ক খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।
  • ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ডায়রিয়া বন্ধ করার ওষুধ দিবেন না।
  • ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের অ্যাসপিরিন (aspirin) আছে এমন ওষুধ দিবেন না। খেয়াল করে দেখবেন ওষুধের নামের নিচে ছোট করে “aspirin” শব্দটি লেখা আছে কি না।

ঘরে বসে কীভাবে খাবার স্যালাইন বানাবেন?

  1. এক লিটার পানি
  2. আধা চা চামচ লবণ
  3. ছয় চা চামচ চিনি (চামচের উপরে চিনি নিয়ে সমান করে নিবেন, যাতে পরিমাপ ঠিক থাকে।)

দোকান থেকে খাবার স্যালাইন কিনলে প্যাকেটের গায়ে লেখা নির্দেশনা অনুযায়ী তৈরি করবেন।

ডায়রিয়া কত দিন পর্যন্ত থাকতে পারে ?

প্রাপ্তবয়স্ক ও বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সাধারণত

  • ৫-৭ দিনের মধ্যে ডায়রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।
  • ১-২ দিনের মধ্যে বমি বন্ধ হয়ে যায়।

তবে এর থেকে বেশি হলে সমস্যা হবে জটিল।

ডায়রিয়া ও বমি ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে যা করবেন:

  • বারবার সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধুবেন।
  • পায়খানা কিংবা বমির সংস্পর্শে এসেছে এমন কাপড় বা বিছানার চাদর গরম পানি দিয়ে আলাদাভাবে ধুয়ে ফেলবেন।
  • পানির কল, দরজার হাতল, টয়লেট সিট, ফ্লাশের হাতল, জীবাণুর সংস্পর্শে আসতে পারে এমন জায়গা প্রতিদিন পরিষ্কার করবেন।
  • বমি বা ডায়রিয়া সেরে যাওয়ার পরে কমপক্ষে দুই দিন বাসায় থাকবেন। স্কুলে বা কর্মক্ষেত্রে ফিরে যাবেন না। নাহলে অন্যদের মাঝেও বমি বা ডায়রিয়া ছড়িয়ে যেতে পারে।

অসুস্থ অবস্থায় যা যা করবেন না:

  • যদি সম্ভব হয়, অন্যদের জন্য রান্না করা থেকে বিরত থাকুন।
  • আপনার থালা-বাসন, ছুরি-চামচ, গামছা-তোয়ালে, জামা-কাপড় কারো সাথে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করবেন না।
  • লক্ষণগুলো চলে যাবার পর ২ সপ্তাহ পার হওয়ার আগে সুইমিং পুলে নামবেন না।

 

ডায়রিয়া হলে কখন ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন?

  1. এক বছরের কম বয়সী শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে আপনি চিন্তিত বোধ করেন
  2. পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর পানিশূন্যতার লক্ষণ দেখা দেয় – যেমন আগের তুলনায় কাঁথা, ন্যাপি বা ডায়াপার কম ভেজাচ্ছে
  3. শিশু বুকের দুধ, বোতলের দুধ কিংবা ফর্মুলা খাওয়া কমিয়ে দেয়
  4. খাবার স্যালাইন খাওয়ার পরেও যদি আপনার অথবা আপনার ৫ বছরের বেশি বয়সী শিশুর মধ্যে পানিশূন্যতার লক্ষণ থেকে যায়
  5. আপনার অথবা আপনার শিশুর যদি পায়খানার সাথে রক্ত যায় বা পায়খানার রাস্তা দিয়ে রক্ত যায়
  6. যদি ২ দিনের বেশি সময় ধরে বমি বা ৭ দিনের বেশি সময় ধরে ডায়রিয়া থাকে

ডায়রিয়া হলে কখন দ্রুত হাসপাতালে যাবেন?

জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে যাবেন যদি আপনার অথবা আপনার শিশুর:

  • বমির সাথে রক্ত আসে অথবা কফি দানার মত কালচে বাদামী রঙের কিছু আসে
  • সবুজ বা হলুদ (পীত) রঙের বমি হয়
  • ঘাড় শক্ত হয়ে যায় আর উজ্জ্বল আলোর দিকে তাকালে চোখে ব্যথা হয়
  • হঠাৎ করেই প্রচণ্ড মাথাব্যথা বা পেটে ব্যথা হয়
  • বারবার বমি হয়, পেটে কিছু রাখতে না পারে
  • বিষাক্ত কিছু গিলে ফেলে
  • খুব অসুস্থ বোধ হয়

প্রচণ্ড বা তীব্র ব্যথা বলতে আমরা যা বুঝি:

  • সারাক্ষণ থাকেএবং এতটাই তীব্র হয় যে কোন কিছু বলা বা চিন্তা করা যায় না
  • ঘুমানো যায় না
  • নড়াচাড়া করাবিছানা থেকে ওঠা, বাথরুমে যাওয়া, হাত মুখ ধোওয়া বা গোসল করা, কাপড় পরা ইত্যাদি কাজ করাও খুব কঠিন হয়ে যায়

মৃদু ব্যথা বলতে আমরা যা বুঝি:

  • ব্যথা আসা যাওয়া করে
  • ব্যথাটা বিরক্তিকর তবে আপনার দৈনন্দিন কাজ যেমন অফিসে যাওয়া ইত্যাদিতে ব্যঘাত ঘটায় না।

মাঝারি ব্যথা বলতে আমরা যা বুঝি:

  • ব্যথা সারাক্ষণ আছে
  • কোন কাজে মনোযোগ দিতে কষ্ট হয়
  • ঘুমাতে কষ্ট হয়
  • ব্যথা সত্ত্বেও বিছানা থেকে ওঠা, হাত মুখ ধোওয়া বা গোসল করা, কাপড় পরা ইত্যাদি কাজ করা সম্ভব হয়

বমি ও ডায়রিয়া হওয়ার কারণ

ঠিক কী কারণে বমি বা ডায়রিয়া হচ্ছে তা হয়তো নাও জানা যেতে পারে, তবে বমি বা ডায়রিয়ার মূল কারণগুলোর চিকিৎসা আসলে একই রকম।

সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হল:

  1. পাকস্থলীতে জীবাণুর আক্রমণ বা গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিস (gastroenteritis)
  2. নরোভাইরাস (পাশ্চাত্য দেশগুলোতে একে vomiting bug ও বলে)
  3. খাদ্যে বিষক্রিয়া (food poisoning)

ডায়রিয়ার অন্যান্য কিছু কারণ হল:

  • বিভিন্ন ওষুধ – যে কোন ওষুধের সাথে দেওয়া নির্দেশিকা পড়ে দেখবেন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো কী কী
  • নির্দিষ্ট কোন খাবারে এলার্জি বা বিশেষ কোন খাবার সহ্য না হওয়া
  • ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বা আইবিএস (Irritable Bowel Syndrome/IBS)
  • ইনফ্ল্যামেটরি বাওয়েল ডিজিজ বা আইবিডি (Inflammatory Bowel Disease/IBD)
  • সিলিয়াক ডিজিজ (coeliac disease)
  • ডাইভার্টিকুলার ডিজিজ (diverticular disease)

নিচের কারণগুলোতে বমি হতে পারে:

  1. গর্ভাবস্থা
  2. মাইগ্রেনের ব্যথা
  3. কানের ভেতরের ইনফেকশন বা ল্যাবিরিন্থাইটিস (labyrinthitis)
  4. বিভিন্ন ওষুধ – যে কোন ওষুধের সাথে দেওয়া কাগজে লেখা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পড়ে নিবেন
  5. রিফ্লাক্স (reflux) – বাচ্চার মুখে খাবার উঠে আসে (থুতুর মত বের করে দেওয়া)
  6. অন্যান্য ইনফেকশন, যেমন প্রস্রাবের রাস্তায় ইনফেকশন (urinary tract infection)

সরিষা বীজ

সরিষা বীজসরিষা বীজে কিছু এন্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান রয়েছে যা পাতলা পায়খানা বন্ধ করার জন্য খুব উপকারি ঘরোয়া উপায়।

  • এক চামচ জলে ১/৪ চা চামচ সরষের বীজ মেশান এবং সেটিকে ১ ঘণ্টা রেখে দিন।
  • এবার এই জল পান করুন যেমন আপনি নিয়মিত জল পান করুন।
  • পাতলা পায়খানা থেকে মুক্তি পেতে দিনে দুই থেকে তিনবার করে এই প্রতিকারটি ব্যবহার করুন।

লেবুর জল

লেবুর রসে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা সহজে পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এটি বহু দশক ধরে পাতলা পায়খানা বন্ধ করতে ব্যবহার করা হয়।

  • একটি পূর্ণ লেবু থেকে রস নিষ্কাশন করুন, এতে ১ চা-চামচ লবণ ও এক চামচ চিনিযোগ করুন । ভাল করে মেশান ।
  • এখন প্রতি ঘন্টায় এই সরবৎ পান করুন যতক্ষণ না আপনার পাতলা পায়খানার সমস্যা বন্ধ হচ্ছে।
  • আপনার পেট পরিষ্কার করার জন্য তিন দিন ধরে এই প্রতিকার ব্যবহার করুন ভাল ফল পাবেন ।
  • নিয়মিত রুটিনে ফেরার আগে চেষ্টা করুন স্যুপ বা তরল জাতীয় খাবার খেতে।

ডালিম

ডালিম এমন একটি ফল যা কার্যকরভাবে আপনার পাতলা পায়খানার সমস্যাকে কমিয়ে দিতে পারে।

  • পাতলা পায়খানার সময় ডালিমের বীজ খাওয়া উচিৎ এতে আপনার কষ্ট সাহায্য করবে। দিনে দুটি করে ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন কারণ এটা পাতলা পায়খানা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য একটি ভাল ঘরোয়া উপায়।
  • আপনি একটি মিক্সারে ডালিম বীজ ব্লেন্ড করে তার জুস বের করে নিতে পারেন । কার্যকর ফলাফল পাওয়ার জন্য দিনে অন্তত তিনবার করে এক গ্লাস এই রস পান করুন ।
  • ডালিম পাতা দিয়ে ফুটিয়ে ভিজিয়ে রাখা জলও খেতে পারেন।

মেথি বা মেথি বীজ

মেথির মধ্যে এন্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং এন্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং পাতলা পায়খানার সাথে লড়াই করার জন্য একটি চমৎকার ঘরোয়া প্রতিকার।

  • এক থেকে দুই চা চামচ শুকনো মেথি বীজকে গুঁড়ো করে নিন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস জলে এই গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন। এতে আপনি পাতলা পায়খানার সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন।

মধু

মধু একটি প্রাকৃতিক ঔষধ যা স্বাস্থ্যের অনেক সমস্যা নিরাময় করতে পারে এবং পাতলা পায়খানা বন্ধ করার জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকরী ঘরোয়া প্রতিকার ।

  • এক চা চামচ ফ্রেশ ও খাঁটি মধু নিন । জৈব মধু হলে আরও ভাল হবে ।
  • এক গ্লাস উষ্ণ জলে 1/2 এক চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো ও খাঁটি মধু ভাল করে মেশান।
  • সকালে খালি পেটে এই জল পান করুন । পাতলা পায়খানার সমস্যাকে নির্মূল করতে দিনে দুবার করে এই প্রতিকার ব্যবহার করুন।

ঘোল

ঘোল ভারতে একটি স্বাস্থ্য পানীয় বলে মনে করা হয় এবং পাচনতন্ত্র শীতল এবং সুস্থ করতে খুবই কার্যকরী। ঘোলে থাকা ব্যাকটেরিয়া এবং অ্যাসিড রোগ প্রতিরোধ করে এবং আপনার পাচনতন্ত্র সুস্থ রাখে।

  • এক চা চামচ নুন ও এক চিমটে বা কালো গোলমরিচের গুঁড়ো বা জিরা গুঁড়ো বা হলুদ গুঁড়ো যোগ করে ভাল করে মেশান ।
  • পাতলা পায়খানার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে দিনে অন্তত দুই থেকে তিনবার এই ঘোল পান করুন ।

সাবু

সাবু পেটের ব্যথা কমাতে এবং হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

  • সাবু দানাকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত পর্যাপ্ত জলে ডুবিয়ে রাখুন ।
  • সাবু যেহেতু অনেক জল গ্রাস করে তাই নিশ্চিত করতে হবে যে তা যথেষ্ট পরিমাণে জলে ভিজিয়ে রাখা হয়েছে কিনা ।
  • আপনি পেট ব্যথা থেকে ত্রাণ পেতে সাবু ভিজানো জল পান করতে পারেন এবং এটি পাতলা পায়খানা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে ।
  • ভাল প্রভাব দেখার জন্য দিনে বেশ কয়েকবার এই জল পান করতে হবে ।

একটি স্বাস্থ্যকর পানীয় প্রস্তুত করুন

আপনার মনে যদি এখনও প্রশ্ন থাকে যে আপনি কিভাবে পাতলা পায়খানার সমস্যাকে আটকাবেন তাহলে হলুদ গুঁড়ো, কারি পাতা এবং লবণ দিয়ে একটি পানীয় তৈরি করুন। দইয়ের মধ্যে এন্টিব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং হলুদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা রয়েছে।কারি পাতাটিও খুব স্বাস্থ্যকর একটি উপাদান যা ভারতীয় খাবারে অনেক বেশি ব্যবহার হয় ।

  • দুই টেবিল চামচ দই, 1/4 চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, এক চিমটে হিং, কারি পাতা এবং নুন দিয়ে ফুটন্ত জলে সেদ্ধ করে নিন।
  • জলটিকে খুব ভাল করে ফোঁটাবেন। ফোঁটানো হয়ে গেলে নামিয়ে নিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন।
  • আলগা মোশন সমস্যা সম্পূর্ণভাবে নিরাময় করার জন্য তিন দিন পরপর দুবার এই পানীয়টি পান করুন ।

তরল পান করুন

যখন আপনি পাতলা পায়খানার সমস্যায় ভোগেন তখন আপনার শরীর থেকে প্রচুর জল বেরিয়ে যায় এবং শরীর জলশূন্য হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই বেশি পরিমাণে জল খাওয়া উচিৎ যাতে শরীর ডিহাইড্রেট না হয়ে যায়।

  • পাতলা পায়খানার সমস্যাকে আটকাতে ৮ থেকে ১২ গ্লাস জল পান করুন।
  • আস্বাস্থ্যকর স্যুপ বা ফলের রসও পান করতে পারেন।
  • জলের মধ্যে ইলেক্ট্রোলাইট পাউডার মিশিয়ে পান করতে পারেন এতে আপনি পেটের ব্যথা থেকেও আরাম পাবেন।
  • ডাবের জলও খেতে পারেন যা শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে।

পুদিনা ও মধু

পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়ার চিকিৎসার জন্য প্রাচীন কাল থেকে পুদিনা পাতার ব্যবহার করা হয়। কারণ পুদিনা পাতায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে যা দ্রুত হজমে সাহায্য করে। যেহেতু এটি হজমে সাহায্য কএ তাই প্রতিদিন খাবার খাওয়ার পড়ে ১-২টি পুদিনা পাতা চিবিয়া খাওয়া উচিৎ। এটি আপনাকে পাতলা পায়খানা থেকে রেহাই পেতেও সাহায্য করবে।

  • তাজা পুদিনা পাতাকে বেটে পুদিনা রস নিঃসৃত করে নিন।
  • পুদিনা পাতার রসের সাথে এক চা চামচ মধু এবং এক চা চামচ লেবুর রস যোগ করুন । এগুলো ভাল করে মিশিয়ে এই মিশ্রণটি খান ।
  • আলগা গতি থেকে মুক্তি এই মিশ্রণটি প্রতিদিন দুই থেকে তিন বার খান।

বেল পাতার পাউডার

বেল পাতা এবং বেল ফল যা কাঠ আপেল নামেও পরিচিত। যেটি পাকস্থলীর সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং পাতলা পায়খানার সমস্যাকেও নির্মূল করে।

  • ২৫ গ্রাম শুকনো বেল পাতা ও ফলের গুঁড়ো নিয়ে তাতে ২ চামচ মধু মিশিয়ে নিন ।
  • এই মিশ্রণটি দিনে তিন থেকে চারবার করে খান এবং প্রতিদিন এটি পুনরাবৃত্তি করুন যতক্ষণ না আপনি মনে করছেন যে আপনি পাতলা পায়খানার সমস্যা থেকে রেহাই পেয়েছেন।

লাউয়ের রস

লাউয়ের রস একটি চমৎকার ঘরোয়া প্রতিকার পাতলা পায়খানা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য। লাউয়ের রসের মধ্যে জলের পরিমাণ বেশি আছে যেটা শরীরকে ড্রীহাইড্রেট হওয়া থেকে রক্ষা করে। একটি তাজা লাউ নিন তারপর তার খোসা ছাড়িয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে নিন।

  • এবার এই টুকরোগুলি ব্লেন্ডারে দিয়ে ভাল করে বেটে নিন ।
  • পেস্টটা থেকে রস নিঃসৃত করে পান করুন। শরীরকে জলশূন্য হওয়া থেকে রক্ষা করতে এই রসটি দিনে দুবার করে পান করুন।

শুকনো আদার পাউডার

আদা এন্টিফাঙ্গাল এবং এন্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান রয়েছে যা হজমে উন্নতি করা ছাড়াও পেট ব্যথা কমাতে করতে সাহায্য করে । এবং এটি পাতলা পায়খানা কমাতেও সাহায্য করে।

  • এক কাপ ঘোলে আধা চামচ শুকনো আদার গুঁড়ো মেশান ।
  • এটি ভাল করে মিশিয়ে দিনে তিন থেকে চারবার এই ঘোল পান করুন ।
  • ২ দিনের মধ্যে, আপনি ডায়রিয়ার সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।

বিশ্রাম নিন

পাতলা পায়খানা কারণে পেটে ব্যথা হয় শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে জল বেরিয়ে যায়। তাই সেই সময় শরীরকে সম্পূর্ণ ২দিন বিশ্রাম দেওয়া দরকার।

  • সম্পূর্ণ বেড রেস্ট নেওয়ার চেষ্টা করুন যাতে শরীর সহজেই সুস্থ হয়ে উঠতে পারে ।
  • আপনি বিছানায় থাকা অবস্থায় সামান্য বিট লবণ দিয়ে হালকা গরম স্যুপ খেতে পারেন এবং তৈলাক্ত বা ভারী খাবার খাবেন না।
  • আপনি যদি পেটে ব্যথা অনুভব করেন তাহলে আপনি পেটে হিটিং প্যাড ব্যবহার করতে পারেন ।

কাঁচা পেঁপে

কাঁচা পেঁপে পাতলা পায়খানা কমানোর জন্য একটি আদর্শ উপাদান। এছাড়াও এটি পেটের ব্যথা থেকে রেহাই দিতে সাহায্য করে।

  • একটি পাত্রে তিন কাপ জলের সাথে কাঁচা পেঁপেকে প্রায় ১০ মিনিট পর্যন্ত ফুটিয়ে নিন ।
  • জলটি গরম হয়ে গেলে সেটিকে ছেঁকে পান করুন।
  • দিনে দুই থেকে তিনবার পান করতে পারেন কিংবা যতক্ষণ না আপনি সুস্থ অনুভব করছেন ।

ডায়রিয়া হলে যা খাবেন না:- 

দুগ্ধজাত পণ্য এড়িয়ে চলুন

তিন-চার দিন পর্যন্ত দুধ বা দুগ্ধজাত পণ্য এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন, যতক্ষনা আপনি পাতলা পায়খানার সমস্যা থকে রেহাই পাচ্ছেন। দুধ পাতলা পায়খানার সমস্যাকে প্রতিরোধ করে না বরং এই সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। যে খাবারগুলি এড়িয়ে যাবেন:

  • চিজ
  • দুধ
  • মার্জারিন
  • দুধের গুঁড়ো
  • ক্যাফিনযুক্ত পানীয়
  • উচ্চ ফাইবার বা তৈলাক্ত খাবার

মাড় সমৃদ্ধ খাবার

পাতলা পায়খানার সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া জন্য এবং পেটের ব্যথা থেকে আরাম পাওয়ার জন্য আপনি মাড় সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে পারেন, এটি আপনার হজম শক্তিকেও বারিয়ে তোলে। কিছু খাবার যা আপনি খেতে পারেন:

  • রান্না করা সাদা ভাত
  • সেদ্ধ আলু
  • ট্যাপিওকা
  • রান্না করা গাজর

ক্যামোমিল চা

ক্যামোফ্লাজ ফুল থেকে তৈরি চা পেটের চিকিৎসার জন্য খুবই কার্যকরী এবং এটি পাতলা পায়খানার সমস্যাকে কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি আপনার পাচনতন্ত্রের উন্নতি ঘটায়।

  • ক্যামোমিল চা ব্যাগ যেটা সহজেই বাজারে পাওয়া যায়, সেটি ব্যবহার করে এক কাপ চা তৈরি করতে পারেন।
  • যদি স্বাস্থ্যকর ভেষজ চা খেতে চান, তাহলে এক চামচ ক্যামোমিল ফ্লাওয়ার এবং এক চামচ পুদিনা পাতা এক কাপ ফুটন্ত জলে ফুটিয়ে নিতে পারেন । এই মিশ্রণটি প্রায় ১৫ মিনিট ধরে ফুটিয়ে নিন।
  • হজমের সমস্যা থেকে ভাল আরাম পেতে দিনে অন্তত তিনবার এই চা পান করুন ।

আপনি কি খুব ই পেট খারাপ বা পেট ব্যাথায় ভুগছেন? এবং জানতে চান সেটা কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায়? তাহলে ওপরে দেওয়া উপায় গুলো নিজের বাড়িতে বানানোর চেষ্টা করে দেখুন এবং নিয়মমাফিক খেতে থাকুন, তাহলে ফল পাওয়া কেউ আটকাতে পারবেনা।

কোন বমির কী কারণ

খাবারে বিষক্রিয়া: নানা কারণে হতে পারে খাবারে বিষক্রিয়া। এটা কখনো হয় বিভিন্ন ধরনের জীবাণুর কারণে, আবার অনেক সময় খাবারে বিষাক্ত উপাদান থাকার কারণে। বাইরের কেনা খাবার কিংবা অস্বাস্থ্যকর খাবার (পচা–বাসি, মাছি বসেছে এমন খাবার) খেয়ে থাকলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খাদ্যে বিষক্রিয়ার উপসর্গ হিসেবে বমি হতে পারে। সঙ্গে থাকতে পারে পেটব্যথা, পাতলা পায়খানা কিংবা মৃদু জ্বর।

লিভারের প্রদাহ: বমির অন্যতম কারণ লিভারের প্রদাহ বা হেপাটাইটিস। বমির সঙ্গে পেটের ডান দিকে ওপরের অংশে ব্যথা, খাবারে অরুচি, চোখ বা প্রস্রাব হলুদ হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণও দেখা দিতে পারে। থাকতে পারে জ্বর।

পিত্তথলির প্রদাহ: পিত্তথলির প্রদাহ হলে পেটের ওপরের অংশে (বুকের নিচ বরাবর) কিংবা পেটের ডান দিকে ওপরের অংশে ব্যথা হতে পারে। ব্যথা ছড়িয়ে যেতে পারে কাঁধের দিকে। বমি তো হতেই পারে। খাওয়ার পর বিশেষ করে ভারী কিছু খাওয়ার পর ব্যথা ও বমি বাড়ে।

অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ: অগ্ন্যাশয়ে প্রদাহ হলে বমি ছাড়াও পেটের ওপরের অংশে প্রচণ্ড ব্যথা হয়, যা পেছনে পিঠে ছড়িয়ে যেতে পারে। থাকতে পারে প্রচণ্ড জ্বরও। খুব দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে রোগী।

অ্যাপেন্ডিক্সের প্রদাহ: অ্যাপেন্ডিসাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির নাভির গোড়ায় কিংবা তলপেটের ডান দিকে ব্যথা, ক্ষুধামান্দ্যর সঙ্গে বমিও থাকতে পারে।

গ্যাসের সমস্যা: পেপটিক আলসারজনিত সমস্যায়ও বমি হতে পারে। সঙ্গে থাকতে পারে বুকে জ্বালাপোড়া, খাওয়ার পর গলা জ্বলা, ঢেকুর ওঠা এবং পেট ভার অনুভূত হওয়ার মতো সমস্যাও।

মূত্র ও মূত্রথলির সংক্রমণ: কেবল পরিপাকতন্ত্রের সমস্যায় বমি হয়, তা নয়, বরং প্রস্রাবে বা মূত্রে সংক্রমণ হলে তলপেটে ব্যথা, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, কাঁপুনিসহ জ্বর যেমন হতে পারে, তেমনি হতে পারে বমিও। মূত্রনালি ও মূত্রতন্ত্রের ওপরের অংশে প্রদাহ হলেও বমিসহ কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসতে পারে। কোমরের দুই পাশে ব্যথা হতে পারে।

দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ: দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে বা কিডনি ফেইলিউরে শরীরে ক্রমাগত বর্জ্য পদার্থ জমা হতে থাকে বলে জটিলতা বাড়ে। এ ধরনের রোগীর ক্ষুধামান্দ্য ও বমির প্রবণতা দেখা যায়।

মস্তিষ্কের রোগে বমি: মস্তিষ্কের গুরুতর সমস্যায় বমি হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। মস্তিষ্কের প্রদাহ (এনকেফেলাইটিস), মস্তিষ্কের পর্দা বা আবরণীর প্রদাহ (মেনিনজাইটিস), এমনকি মস্তিষ্কে টিউমার হলেও বমি হতে পারে। মাথাব্যথার (বিশেষত সকালবেলার তীব্র মাথাব্যথা) সঙ্গে বমি হলে অবশ্যই এমনটা সন্দেহ করতে হবে। কখনো রোগীর জ্ঞানের মাত্রার তারতম্য হতে পারে, হতে পারে খিঁচুনিও। প্রদাহ হয়ে থাকলে জ্বর হতে পারে।

গর্ভাবস্থা: বিবাহিত নারীর ক্ষেত্রে ভিন্ন একটি সম্ভাবনার কথা মাথায় রাখতে হবে। শেষবার মাসিক হওয়ার পর কত দিন পেরিয়ে গেছে, তা হিসাব করতে হবে। অনেক সময়ই নারীরা নিজের খেয়াল রাখার সময় পান না। গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস বমি ভাব ও বমি হওয়াটা স্বাভাবিক।

মানসিক: অনেক সময় কোনো কারণ ছাড়াই কেউ কেউ বমির সমস্যায় ভুগে থাকেন। বিশেষ করে কম বয়সী মেয়েদের বা শিশুদের ক্ষেত্রে এমনটা বেশি দেখা যায়। একে বলে সাইকোজেনিক বমি। এসব ক্ষেত্রে চিকিৎসক সম্ভাব্য কোনো কারণ খুঁজে না পেলে এবং মানসিক অস্থিরতা বা অন্য কোনো মানসিক যোগসূত্র পেলে মানসিক সমস্যাকে বিবেচনায় নিয়ে থাকেন।

DISCLAIMER- আমরা এই আর্টিকলেসটি লিখতে সাহায্য নিয়েছি Google, বিভিন্ন ডাক্তার, Health Newspaper, Youtube, Wikipedia, বিভিন্ন ওয়েবসাইটের। এটি শুধুমাত্র  মানুষকে জাগরূক আর মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যে দেওয়া। যেকোনো রোগের পরামর্শের জন্যে নিকটবর্তী স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে যান বা নিজের আসে পাশের স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র জানতে ক্লিক করুন এখানে

কোনো পরামর্শ পেতে Click করুন 

পরবর্তীতে এরকম মূল্যবান তথ্য পেতে WhatsApp এ আমাদের সাথে যুক্ত হন

This Post Has One Comment

  1. Nasim

    It’s completely helpful

Leave a Reply